আব্বাস সাহেব সম্প্রতি চাকুরী থেকে অবসর গ্রহন করেছেন।
হজ্জ ফরজ হয়েছে বহু বছর আগেই। ছেলে-মেয়েদের বিয়ে দেবেন তার পরে হজ্জ করবেন বলে হজ্জটাকে ফেলে রেখেছিলেন।
হজ্জ করার নিয়্যতও করেছেন তিনি।
কিন্তু নিয়্যত করলে কী হবে! আল্লাহর পরিকল্পনা তো ভিন্ন!
আল্লাহ তাকে আর সময় দিলেন না। একদিন আব্বাস সাহেব কে আল্লাহ তার নিজের কাছে উঠিয়ে নিলেন।
সন্তানদের কপালে চিন্তার ভাঁজ। বাবা নিয়্যত করেছিলেন হজ্জের, কিন্তু হজ্জটা করতে পারেননি।
সন্তান হয়ে তাদের কী কোন দায়িত্ব আছে এ নিয়ে?
একবার এক ব্যক্তি রাসূল ﷺ জিজ্ঞেস করলেন,
ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমার পিতা ইন্তেকাল করেছেন, অথচ তিনি হজ্জ করেন নি।
আমি কি তার পক্ষ হতে হজ্জ করবো?
রাসূল ﷺ বললেন,
যদি তার উপর ঋণ থাকতো, তাহলে তুমি কি তা আদায় করে দিতে?
লোকটি বললো, হ্যাঁ
তখন রাসূল ﷺ বললেন,
আল্লাহর হক আদায় করা অধিক যুক্তিযুক্ত।
[সূনান নাসাঈ : ২৬৪১]
উল্লেখ্য, বদলি হজ্জকারী আত্মীয়ের পক্ষ থেকে বদলি হজ্জকারী হোক কিংবা অনাত্মীয় কারো পক্ষ থেকে বদলি হজ্জকারী হোক তাকে অবশ্যই বদলি হজ্জের আগে নিজের হজ্জ আদায় করেছে এমন হতে হবে। বদলি হজ্জের ক্ষেত্রে নিয়ত ছাড়া পদ্ধতিগত আর কোন পার্থক্য নেই। অর্থাৎ সে ব্যক্তি নিয়ত করবে যে, তিনি এ অমুক ব্যক্তির পক্ষ থেকে হজ্জ আদায় করছেন। তালবিয়ার সময় নাম উল্লেখ করে বলবে: ‘লাব্বাইকা আন ফুলান’ (অর্থ- অমুক ব্যক্তির পক্ষ থেকে আমি হাজির)। এরপর হজ্জের মধ্যে দোয়া করার সময় নিজের জন্য দোয়া করবে এবং যার পক্ষ থেকে হজ্জ আদায় করছে তার জন্যেও দোয়া করবে।
আপনার হজ উমরাহ-এর যাত্রাকে আরো সহজ এবং সুন্দর করতে আজই যোগাযোগ করুন নির্ভরযোগ্য বাংলাদেশী হজ্জ এজেন্সী – শেফার্ডস এর সাথে।