হজ্জের কাজগুলো তিনটি ভাগে বিভক্ত:
ফরজ, ওয়াজিব আর সুন্নাত।
– ফরজ বা রুকন কাজগুলো বাদ দিলে হজ্জ বাতিল হয়ে যায়।
– ওয়াজিব ছুটে গেলে দম দিতে হয়।
– ফরজ ওয়াজিব বাদে কিছু কাজ আছে সেগুলো এবং হজ্জ কার্যের ধারাবাহিকতা রক্ষা করা সুন্নাত। এগুলো ছুটে গেলে আল্লাহ মাফ করে দেবেন বলে আমরা আশা রাখি।
এই তিন কাজের বাইরে কিছু মানুষ আরও কিছু কাজকে ফরজ/ওয়াজিবের সমপর্যায়ে নিয়ে গেছে। অথচ না সেগুলো হজ্জের সুন্নাহ, না ওয়াজিব না ফরজ!
যেমন : রাসূল ﷺ এর কবর জিয়ারাত করা, সালাম দেওয়া ইত্যাদি।
ভুল বুঝবেন না আমাদের। আমরা এগুলো করতে নিষেধ করছিনা। শুধু সতর্ক করছি, এগুলোকে যেন হজ্জের অংশ না ভাবা হয়।
কেউ ইচ্ছা করলে হজের আগে বা পরে মসজিদে নববীতে গিয়ে সালাত আদায় করতে পারেন, সেখানে যাওয়ার পর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কবর যিয়ারত করতে পারেন। এটি সম্পূর্ণ স্বতন্ত্র মুস্তাহাব কাজ। একটি প্রচলিত হাদীস আছে ‘‘যে হজ করতে এসে আমার কবর জিয়ারতের জন্য এলো না সে আমার সাথে রূঢ় আচরণ করল।’’ এটি সম্পূর্ণ জাল ও মিথ্যা হাদীস।
মাসজিদে নববীতে সলাতের জন্য সফর করা অনুমোদিত এবং একটি সাওয়াবের কাজ।
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘‘ইবাদত বা প্রার্থনার নিয়তে তিনটি মসজিদ; মসজিদে হারাম, মসজিদে নববী ও আল-আকসা মসজিদ ব্যাতীত অন্য কোনো স্থানে সফর করো না।”
উৎস: হজ সফরে সহজ গাইড
লেখক: মুহাম্মাদ মোশফিকুর রহমান
সুন্দর একটি হজ উমরাহ যাত্রা নিশ্চিত করতে যোগাযোগ করুন নির্ভরযোগ্য বাংলাদেশী হজ্জ উমরাহ এজেন্সী – শেফার্ডস এর সাথে।