আমাদের অনেকেরই স্বপ্ন আল্লাহর ঘরে যাওয়ার, হজ্জ করার। যেখানে ‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক’ ধ্বনিতে আকাশ বাতাস মুখরিত হয়। যেখানে মিলিত হয় সারা বিশ্বের মুসলিম, যেন সব নদীর স্রোত এসে মেশে এক মোহনায়।
প্রত্যেকটা কাজই যেহেতু নিয়্যাতের উপর নির্ভরশীল, তাই হজ্জ্বের ব্যাপারে নিয়্যাত রাখা জরুরী। হজ্জের নিয়ত করার পরে আমরা আসলে কতটা সিরিয়াস তা প্রমাণিত হবে আমরা হজ্জের জন্য টাকা জমাচ্ছি কিনা।
দৈনন্দিন জীবনের আয় ব্যয়ের হিসেব করা দরকার। পরিবারের খাওয়া-দাওয়া, সন্তানদের পড়াশুনার খরচ, যাতায়াত, বাসাভাড়া সব কিছু মিটিয়ে কত টাকা আমার কাছে থাকছে আর এটার বাইরে কোন খাতে কত ব্যয় হচ্ছে সেগুলো আমরা খুঁজে বের করব। ঐচ্ছিক খরচ যা আছে কমিয়ে ফেলার চেষ্টা করতে হবে। অপচয় যেন কিছুতেই না হয় সেদিকে সর্তক থাকতে হবে, কারণ আল্লাহ অপচয়কারীকে পছন্দ করেন না।** চাওয়ার ফর্দকে কমিয়ে আনতে হবে।
মাসিক আয়ের একটা ক্ষুদ্র অংশ আমরা হজ্জের নিয়্যাতে সঞ্চয় করব। আল্লাহর প্রতি আস্থা রেখে একটু একটু করে লক্ষ্যের দিকে অগ্রসর হব। যদি আল্লাহ চায় হঠাৎ একদিন দেখবেন হিসেবের খাতায় হজ্জের টাকা যোগাড় হয়ে গেছে!
*বুখারী ২৫২৯, ৩৮৯৮,৫০৭০, মুসলিম ১৯০৭
**আল কুরআন ৭/৩১