সালাত আদায়কারীর ৫ স্তর।
ইবনুল কায়্যিম রহিমাহুল্লাহ্ বলেছেন, সালাত আদায়ের ধরনের উপর বিবেচনা করে মানুষকে ৫ টি স্তরে ভাগ করা যায়।
১. সালাতে অমনোযোগী ব্যক্তি
অবহেলা আর অমনোযোগে ভরে ওঠে তার সালাত। সঠিকভাবে অজু এবং সঠিক ওয়াক্তে জামাতের সাথে সালাত আদায়ের ক্ষেত্রেও থাকে বেখায়াল। সালাতের হুকুম আহকামগুলো পালনের ক্ষেত্রেও যত্নশীল না।
২. শয়তানের ওয়াস ওয়াসায় নিমজ্জিত ব্যক্তি
এই ব্যক্তিকে সালাতের অজু, ওয়াক্ত আর হুকুম আহকামের ব্যাপারে যত্নশীল মনে হলেও সালাতের মধ্যে নিজের নফসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে পরাজিত হয়। সালাতের মধ্যে জাগতিক চিন্তার পাশাপাশি শয়তানের ওয়াস ওয়াসায় নিমজ্জিত থাকে।
৩. সংগ্রামী ব্যক্তি
সালাতের মধ্যে জাগতিক চিন্তা আর শয়তানের ওয়াস ওয়াসার বিরুদ্ধে সংগ্রামে লিপ্ত থাকে সে, যাতে শয়তান তার সালাতের কোন ক্ষতি করতে পারে না। একই সাথে সে সালাত এবং জিহাদ উভয়ের সাথেই নিজেকে নিযুক্ত রাখে।
৪. মনোযোগী হৃদয়
অজু, ওয়াক্ত আর সালাতের ব্যাপারে এই ব্যক্তি অনেক মনোযোগী। একমাত্র লক্ষ্য থাকে সঠিক এবং সুন্দর ভাবে সালাত আদায় করা। সালাত থেকে যাতে কোন কিছু ছুটে না যায় সে ব্যাপারে থাকে সতর্ক। হৃদয় থাকে তার সালাত এবং রবের সাথে নিমজ্জিত।
৫. সম্পূর্নভাবে বিনয়ী
উপরে বর্ণিত ব্যক্তির ন্যায় এ ব্যক্তিও সালাতে মনোযোগী। সর্বোচ্চ সম্মান এবং ভালবাসা দিয়ে নিজেকে এমন ভাবে রবের সামনে উপস্থিত করে যেন, মনে হয় সে সত্য সত্যই আল্লাহকে দেখছে। সালাতে এই একাগ্রতার জন্য জাগতিক সব চিন্তা আর শয়তানের ওয়াসওয়াস তার কাছে ঘেষতে পারে না। তার এবং তার রবের মধ্যেকার পর্দা উঠে যায়। সে শুধু ব্যস্ত থাকে তার রবের সাথে একান্ত সাক্ষাতে। অন্যদের সাথে তার সালাতের পার্থক্য যেন আকাশ এবং পৃথিবীর সমান। যখনই সে সালাত আদায় করে তখনই যেন সে থাকে তার রবের সন্তুষ্টির সাথে আচ্ছন্ন।
ইলমফীড ব্লগ হতে অনূদিত।