Got Questions? We've Got Answers, in sha Allah!
Planning your Hajj or Umrah journey and have questions? Find answers to almost everything from travel arrangements to religious guidelines.
উমরার রুকন কয়টি ও কি কি?
১টি। সেটি হলো কাবাঘর তাওয়াফ করা। আর উমরার শর্ত হলো ইহরাম বাঁধা। তবে কেউ কেউ বলেছেন উমরার রুকন তিনটি। যথা:
(১) ইহরাম বাঁধা।
(২) তাওয়াফ করা
(৩) সাঈ করা।
উল্লেখ্য যে, এ রুকনগুলোই উমরার ফরয।
উমরার ওয়াজিব কয়টি ও কি কি?
৩টি, সেগুলো হল:
(১) ইহরামের কাপড় পরে উমরার নিয়ত করার কাজটি মীকাত পার হওয়ার আগেই করা।
(২) ‘সাফা ও মারওয়া’ এ দু’টি পাহাড়ের মধ্যবর্তী স্থানে সাঈ করা। কিছু আলেম একে রুকন অর্থাৎ ফরয বলেছেন।
(৩) চুল কাটা (মাথার চুল মুণ্ডানো বা ছোট করা)।
উমরার মৌসুম কখন?
উমরা বৎসরের যেকোন মাস, যে কোন দিন ও যে কোন রাতে করা যায়। তবে ইমাম আবু হানীফার মতে আরাফাতের দিন, কুরবানীর দিন এবং আইয়ামে তাশরীকের তিন দিন উমরা করা মাকরূহ।
হজ্জের রুকন কয়টি ও কি কি?
৩টি, সেগুলো হল:
(১) ইহরাম বাঁধা (অর্থাৎ ইহরামের কাপড় পরে হজ্জের নিয়ত করা।)
(২) ৯ই যিলহজ্জে আরাফাতে অবস্থান করা।
(৩) তাওয়াফ : তাওয়াফে ইফাদা অর্থাৎ তাওয়াফে যিয়ারাহ করা।
উল্লেখ্য যে, হজ্জের রুকনগুলোই মূলতঃ হজ্জের ফরয। এর কোন একটি রুকন ছুটে গেলে হজ্জ বাতিল হয়ে যাবে।
হজ্জের ওয়াজিব কয়টি ও কি কি?
৯ টি, সেগুলো হল:
(১) সাঈ করা। (অনেকের মতে এটা হজ্জের রুকন।)
(২) ইহরাম বাঁধার কাজটি মীকাত পার হওয়ার পূর্বেই সম্পন্ন করা।
(৩) আরাফাতে অবস্থান সূর্যাস্ত পর্যন্ত দীর্ঘায়িত করা।
(৪) মুযদালিফায় রাত্রি যাপন।
(৫) মুযদালিফার পর কমপক্ষে দুই রাত্রি মিনায় যাপন করা।
(৬) কঙ্কর নিক্ষেপ করা।
(৭) হাদী (পশু) জবাই করা (তামাত্তু ও কেরান হাজীদের জন্য।)
(৮) চুল কাটা।
(৯) বিদায়ী তাওয়াফ।
দম কী কারণে দিতে হয়?
যে কোন কারণেই কোন একটি ওয়াজিব ছুটে গেলে দম (অর্থাৎ পশু জবাই) দেয়া ওয়াজিব হয়ে যায়।
হজ্জের সুন্নত কয়টি ও কী কী?
হজ্জের সুন্নত অনেক। এর মধ্যে উলেখযোগ্য হল:
(১) ইহরামের পূর্বে গোসল করা
(২) পুরুষদের সাদা রঙের ইহরামের কাপড় পরিধান করা।
(৩) তালবিয়াহ পাঠ করা
(৪) ৮ই যিলহজ্জ দিবাগত রাত মিনায় অবস্থান করা
(৫) ছোট ও মধ্যম জামারায় কংকর নিক্ষেপের পর দু‘আ করা
(৬) কেরান ও ইফরাদ হাজীদের তাওয়াফে কুদূম করা।
তবে কোন কারণে সুন্নত ছুটে গেলে দম দিতে হয় না।
হজ্জ কত প্রকার ও কি কি?
তিন প্রকার, যথা :
(১) তামাত্তু,
(২) কেরান,
(৩) ইফরাদ।
প্রথমত: ‘তামাত্তু’ হল হজ্জের সময় প্রথমে উমরা করে হালাল হয়ে ইহরামের কাপড় বদলিয়ে স্বাভাবিক জীবন যাপন করা। এর কিছু দিন পর আবার মক্কা থেকেই ইহরাম বেধে হজ্জের আহকাম পালন করা।
দ্বিতীয়ত: ‘কিরান’ হল উমরা ও হজ্জের মাঝখানে হালাল না হওয়া এবং ইহরামের কাপড় না খোলা। একই ইহরামে আবার হজ্জ সম্পাদন করা।
তৃতীয়ত: ‘ইফরাদ’ হল উমরা করা ছাড়াই শুধুমাত্র হজ্জ করা।
হজ্জ ফরয হওয়ার দলীল কি?
প্রথমতঃ আল্লাহ তা‘আলার নির্দেশ। তিনি বলেনঃ
অর্থ: মানুষের মধ্যে যার সামর্থ আছে আল্লাহর জন্য ঐ ঘরে হজ্জ করা তার উপর অবশ্য কর্তব্য।
দ্বিতীয়তঃ নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের হাদীস। তিনি বলেন:
(ক) ইসলামের ভিত্তি হয়েছে ৫টি স্তম্ভের উপর :
(১) আল্লাহ ছাড়া কোন মা‘বুদ নেই এবং মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের আল্লাহর রাসূল এ সাক্ষ্য দেয়া,
(২) সালাত আদায় করা,
(৩) যাকাত দেয়া,
(৪) রমজান মাসে সিয়াম পালন করা এবং
(৫) বায়তুল্লাহ শরীফে হজ্জ পালন করা। (বুখারী)
(খ) হে মানুষেরা! আল্লাহ্ তোমাদের উপর হজ্জ ফরয করেছেন। কাজেই তোমরা হজ্জ পালন কর। (মুসলিম)
কোন কোন শর্ত পূরণ হলে একজন লোকের উপর হজ্জ ফরয হয়?
নিম্ন বর্ণিত শর্তগুলোর সবকটি পূরণ হলে হজ্জ ফরয হয়:
(১) মুসলমান হওয়া। অমুসলিম অবস্থায় কোন ইবাদাত আল্লাহর কাছে গ্রহণযোগ্য হয় না।
(২) বালেগ হওয়া।
(৩) আকল-বুদ্ধি থাকা। অর্থাৎ অজ্ঞান ও পাগলের কোন ইবাদাত হয় না।
(৪) আর্থিক ও শারীরিক সক্ষমতা থাকা। আর্থিক সক্ষমতার অর্থ হলো হজ্জের খরচ বহন করার পর তার পরিবারের ভরণপোষণ চালিয়ে যাওয়ার মত সম্পদ ও সক্ষমতা থাকতে হবে। শারীরিক সুস্থতার সাথে তার যানবাহনের সুবিধা, পথের নিরাপত্তা থাকা এবং মহিলা হলে তার সাথে মাহরাম পুরুষ থাকা এসবও সক্ষমতার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত। এর কোন একটির ব্যাঘাত ঘটলে হজ্জ ফরয হবে না।
যার উপর হজ্জ ফরয হয় তিনি কতদিন পর্যন্ত দেরী করতে পারবেন?
সাথে সাথেই হজ্জ আদায় করতে হবে। দেরী করা উচিত নয়। কারণ, যে কোন সময় বিপদাপদ এমন কি মৃত্যু এসে যেতে পারে। অধিকাংশ ওলামাদের মত এটাই।
মীকাত কি?
কাবা শরীফ গমনকারীদেরকে কাবা হতে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ দূরত্বে থেকে ইহরাম বাঁধতে হয়, যে স্থানগুলো নবীজির হাদীস দ্বারা নির্ধারিত আছে। ঐ জায়গাগুলোকে মীকাত বলা হয়। হারাম শরীফের চর্তুদিকেই মীকাত রয়েছে।
মীকাত কত প্রকার ও কি কি?
২ প্রকার:
(ক) সময়ের মীকাত,
(খ) স্থানের মীকাত।
হজ্জের জন্য সময়ের মীকাত হল শাওয়াল, যিলকদ এবং যিলহজ্জ মাস। অনেকের মতে শাওয়াল মাস থেকে যিলহজ্জের প্রথম ১০ দিন পর্যন্ত। এ সময়গুলোকে হজ্জের মাস বলা হয়। অপরদিকে উমরার সময় হল বছরের যে কোন মাস, দিন ও রাত।
বাংলাদেশ থেকে যারা উমরা বা হজ্জে যাবেন তারা কোন স্থান থেকে ইহরাম বাঁধবেন?
ইয়ালামলাম’ নামক স্থান থেকে। আকাশ পথে বিমান যখন উক্ত মীকাতে পৌছে তখন ক্যাপ্টেনের পক্ষ থেকে ঘোষণা দেয়া হয়, তখনই ইহরাম বাধবে অর্থাৎ নিয়ত করবে। ঢাকা থেকেও ইহরামের কাপড় পরে যাওয়া যায়। তবে নিয়ত করবেন ‘মীকাতে’ পৌঁছে বা এর পূর্বক্ষণে। মনে রাখতে হবে যে, ইহরাম বাঁধা ছাড়া মীকাত অতিক্রম করা যাবে না। ইহরাম বাঁধার অর্থ হল ইহরামের কাপড় পরে উমরা বা হজ্জের নিয়ত করা।
চতুর্থ মীকাত “ইয়ালামলাম” যেখানে বাংলাদেশ থেকে গমনকারী লোকেরা ইহরাম বাঁধে- এটির অবস্থান কোথায় এবং কেমন?
ইয়ালামলাম’ শব্দটি একটি উপত্যাকার নাম বলে জানা যায়। এ জায়গাটি মক্কা শরীফ থেকে ১২০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এলাকাটি السعدية ‘সাদীয়া’ নামেও পরিচিত। যেসব দেশের লোকেরা এখান থেকে ইহরাম বাঁধে সেগুলো হল: (ক) ইয়ামেন, (খ) বাংলাদেশ, (গ) ভারতবর্ষ, (ঘ) চীন, (ঙ) ইন্দোনেশিয়া, (চ) মালয়েশিয়া, (ছ) দক্ষিণ এশিয়াসহ পূর্বের দেশসমূহ।
ইহরামের কাপড় পরিধান ছাড়া জেনে বা অজ্ঞতাবশতঃ, সজ্ঞানে, ভুলে বা ঘুমন্ত অবস্থায় মীকাতের সীমানায় ঢুকে পড়লে কি করতে হবে?
তাকে অবশ্যই আবার মীকাতে ফিরে গিয়ে ইহরাম বাঁধতে হবে, নতুবা একটি দম দিতে হবে অর্থাৎ একটি ছাগল, বকরী বা দুম্বা জবাই করে মক্কায় গরীবদের মধ্যে এর গোশত বিলি করে দিতে হবে। নিজে খেতে পারবে না।
মীকাত পার হওয়ার আগে কী কী কাজ করতে হয়?
(১ ) নখ ও চুল কেটে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন হওয়া মুস্তাহাব।
(২) মুস্তাহাব হলো গোসল করে নেয়া।
(৩) সুগন্ধি মাখাও মুস্তাহাব। তবে মেয়েরা সুগন্ধি মাখবে না।
(৪) ইহরাম বাঁধা। অর্থাৎ ইহরামের কাপড় পরে উমরা বা হজ্জের নিয়ত করা। এটি ওয়াজিব।
(৫) মেয়েদের হায়েয অবস্থায়ও মীকাত পার হওয়ার আগে গোসল করে ইহরাম পরা সুন্নাত। অতঃপর হজ্জ বা উমরার নিয়ত করা।
(৬) মুস্তাহাব হলো ফরয সালাতের পর ইহরাম বাঁধা।
(৭) দু’রাকআত সালাত (তাহিয়্যাতুল অজু) শেষ হলে নিয়ত করবেন।
(৮) অতঃপর তালবিয়াহ পাঠ শুরু করবে। এটি নীচে দেয়া হল:
لَبَّيْكَ اللَّهُمَّ لَبَّيْكَ ، لَبَّيْكَ لَا شَرِيكَ لَكَ لَبَّيْكَ ، إِنَّ الْحَمْدَ والنِّعْمَةَ لَكَ وَالْمُلْكُ ، لَا شَرِيكَ لَكَ
অর্থ: হাজির হয়েছি হে আল্লাহ! তোমার ডাকে সাড়া দিয়ে আমি হাজির হয়েছি। আমি হাজির হয়ে সাক্ষ্য দিচ্ছি তোমার কোন শরীক নাই, আমি হাজির। নিশ্চয়ই সমস্ত প্রশংসা ও নেয়ামত তোমারই এবং রাজত্বও। তোমার কোন শরীক নাই।
ইহরামের কাপড় পরিধানের পূর্বে পরিচ্ছন্নতার জন্য কি কি কাজ করা মুস্তাহাব?
নখ কাটা, গোফ খাট করা, বোগল ও নাভির নীচের চুল কামানো ও তা পরিষ্কার করা। তবে ইহরামের পূর্বে পুরুষ ও মহিলাদের মাথার চুল কাটার বিষয়ে কোন বিধান পাওয়া যায় না। উলেখ্য যে, দাড়ি কোন অবস্থায়ই কাটা যাবে না। নখ-চুল কাটার পর গোসল করাও মুস্তাহাব।
গোঁফ ছোট করা, নখ কাটা, বগল পরিষ্কার করা এবং নাভির নীচের লোম পরিষ্কার করার কাজগুলোকে ৪০ রাতের বেশি সময় অতিক্রম না করার জন্য আমাদেরকে সময় নির্দিষ্ট করে দেয়া হয়েছে। (মুসলিম ২৫৮)
পুরুষের ইহরামের কাপড় কেমন হতে হবে?
চাদরের মত দু’টুকরা কাপড় একটি নীচে পরবে। দ্বিতীয়টি গায়ে দিবে। কাপড়গুলো সেলাইবিহীন হতে হবে। পরিচ্ছন্ন ও সাদা রং হওয়া মুস্তাহাব। ৩য় আর কোন প্রকার কাপড় গায়ে রাখা যাবে না। যেমন টুপি, গেঞ্জি, জাইঙ্গা বা তাবীজ কিছুই না। তবে শীত নিবারণের জন্য চাদর ও কম্বল ব্যবহার করতে পারবে।
মেয়েদের ইহরামের কাপড় কী ধরনের হওয়া চাই?
মেয়েদের ইহরামের জন্য বিশেষ কোন পোষাক নেই। মেয়েরা সাধারণত: যে কাপড় পরে থাকে সেটাই তাদের ইহরাম। তারা নিজ ইচ্ছা মোতাবেক ঢিলেঢালা ও শালীন পোষাক পরবে। তবে যেন পুরুষের পোষাকের মত না হয়। এটা কাল, সবুজ বা অন্য যে কোন রঙের হতে পারে।
ইহরামের ওয়াজিব কয়টি ও কী কী?
৩টি যথা:
(১) মীকাত থেকে ইহরাম বাঁধা।
(২) সেলাইবিহীন কাপড় পরিধান করা।
(৩) তালবিয়াহ পাঠ করা। অর্থাৎ নিয়ত করার পর তালবিয়াহ পাঠ করা ওয়াজিব।
ইহরাম অবস্থায় মেয়েরা কি মুখ ঢেকে রাখতে (নিকাব পরতে) ও হাত মোজা পরতে পারবে?
না। নিকাব ও হাতমোজা এ অবস্থায় পরবে না। তবে ভিন্ন পুরুষ সামনে এলে মুখ আড়াল করে রাখবে। অর্থাৎ নিকাব ছাড়া ওড়না বা অন্য কোন কাপড় দ্বারা মুখমণ্ডল ঢাকার অনুমতি আছে।