ঘটনা ১ঃ
সূরা কাহাফে দুইজন বাগান মালিকের ঘটনা আছে। আল্লাহ তাদেরকে দুটি বাগান দিয়েছিলেন, বাগানগুলোয় ছিল শস্যক্ষেত্র আর ভেতরে প্রবাহিত হত নহর। প্রচুর ফল আর শস্য উৎপন্ন হত। একজন বাগান মালিক এসমস্ত কারণে অহংকারী হয়ে পড়ে। সে ধারণা করে যে তার সম্পদ কখনো ধ্বংস হবে না, ধনে ও জনবলে সেও অন্যজনের থেকে শ্রেষ্ঠ। সে বলে যে, তার ধারণা কিয়ামত কখনও হবে না, যদি হয়ও আল্লাহ তাকে আরো উৎকৃষ্ট কিছু দান করবে। এভাবে আল্লাহর সাথে সে কুফুরি করল। অপর বাগান মালিক তাকে তার কুফুরির বিষয়ে অবহিত করে আর সে তার বাগানের জন্য আল্লাহর প্রশংসা ও শুকরিয়া করে। একদিন অহংকারী বাগান মালিকের সব কিছু আল্লাহ ধ্বংস করে দেন। সবকিছু হারিয়ে অহংকারী ব্যক্তিটি দিশেহারা হয়ে পড়ে আর পরিতাপের সাথে বলল, হায়, আমি যদি কাউকেও আমার প্রতিপালকের সাথে শরীক না করতাম!’
শিক্ষাঃ
দুনিয়ার ক্ষণিক ধন-সম্পদের মোহ কখনও কখনও আমাদের আল্লাহর স্মরণ হতে বিমুখ করে দেয়। এমনকি কখনও কখনও নিমজ্জিত করে দেয় ভয়ংকর কুফুরিতে। এ ঘটনাটা তারই সাক্ষী দেয়।
আল্লাহ সুবহানাহুতায়ালা আমাদের কে যা দিয়েছেন, যতটুকু দিয়েছেন ততটুকু নিয়েই শুকরিয়া আদায় করা উচিত। কারণ, শুকরিয়া আদায় করলে সম্পদ আরও বাড়িয়ে দেবার নিশ্চয়তাটা আমাদের রব কুরআনেই আমাদের জানিয়ে দিয়েছেন। মহান আল্লাহ তায়ালা সবকিছুর উপরে ক্ষমতাবান, তাই সব শেষ হওয়ার আগেই তাঁর পথে ফিরে আসতে হবে, তার কাছে শোকর আদায় করে হাজারও দুঃখ-কষ্টের মাঝেই বলতে শিখতে হবে– ‘আলহামদুলিল্লাহ’