অনেকেই জানতে চান, আমাদের হজ্জ এজেন্সির নাম শেফার্ডস কেন?
আমরা আসলে Shepherds অর্থাৎ মেষপালক নামটি দিয়ে অনুপ্রাণিত হয়েছি।
প্রায় প্রত্যেক নবী এবং রাসুল-ই জীবনের কোনো না কোনো সময় মেষপালন করেছেন। সেই অর্থে তারা সবাই শেফার্ড হিসেবে একটি বিশেষ প্রশিক্ষণ পেয়েছেন।
কী সেই প্রশিক্ষণ?
১/ ধৈর্য:
মেষগুলো পরিচালনায় হতে হয় প্রচন্ড ধৈর্যশীল। দিন-রাত কষ্ট করে চরানোর পরেও তাদের অবোধ আচরণে রাগ করা যায় না।
অসীম ধৈর্য না থাকলে মানুষকে আল্লাহর দিকে ডাকা যায় না। সব অবহেলা, অপমান আর প্রত্যাখ্যান সহ্য করেই নবীদের কাজ চালিয়ে যেতে হয়।
২/ কঠোর হওয়া:
আনন্দ বা ভোগ-বিলাসের জীবন মেষপালকের জীবন না। তপ্ত রোদের মধ্যে কঠোর পরিশ্রমের পর দিন শেষে পানির সাথে শুকনো কিছু খাবারেই তাকে খুশি থাকতে হয়। মেষের পালের পাশেই গন্ধের মধ্যে ঘুমিয়ে পড়তে হয়।
একজন নবীকেও দুনিয়াতে তার মিশনের জন্য প্রতিনিয়ত অবর্ণনীয় কষ্ট করতে হয়।
৩/ নরম হওয়া:
একজন শেফার্ডকে ভেড়ার প্রতি আচরণে অনেক নরম হতে হয়। অবুঝ প্রাণীগুলোকে আদর দিয়ে বশে রাখতে হয়। বাচ্চাগুলোর চায় বাড়তি যত্ন। দূর্বল মেষগুলো কখনও কখনও অসুস্থ হয়ে পড়ে। এগুলোর চিকিৎসার দায়িত্বও একজন মেষপালকের। নম্র স্বভাবের না হলে একজন মেষপালক এ দায়িত্বগুলো পালন করতে পারে না।
নবীরাও ছিলেন তাদের উম্মাতের প্রতি দরদী, নরম মনের, কল্যাণকামী।
৪/ সাহস:
মেষপালের প্রতি হিংস্র পশুর নজর থাকে। এজন্য তাদের রক্ষার জন্য একজন মেষপালককে হতে হয় সাহসী। ভীতু মানুষ নিজেকেই রক্ষা করতে পারে না। ভেড়াগুলোকে বাঁচাবে কীভাবে?
নবী-রাসূলরাও ছিলেন অসীম সাহসী। বিপদের সময় তাঁরা সবার আগে রুখে দাঁড়িয়েছেন।
৫/ হালাল আয়:
নিজের আয় দ্বারা জীবন-ধারণ করা সবচেয়ে সম্মানজনক জীবিকা। আল্লাহ্ চেয়েছেন নবী রাসূলগণ নিজের হালাল আয় দ্বারা জীবন ধারণ করুক। কারো দান সাদাকার ওপর নির্ভরশীল হয়ে নয়। এটার প্রশিক্ষণ হিসাবেও আল্লাহ নবীদেরকে দিয়ে মেষ চরিয়ে নিয়েছেন।
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা আমাদের সবার ছোট বড় সব ভালো উদ্যোগগুলো কে কবুল করুক। আমীন।