খেলোয়াররা মাঠে নামার আগে হালকাভাবে একটু দৌঁড়ে নেন। মূল কাজটা যখন খুব দামী হয় তখন তার আগে প্রস্তুতি নিয়ে রাখা লাগে।
যেমন রামাদান মাসের সিয়াম। প্রায় এগার মাস পরে পরে যারা সিয়াম থাকেন তাদের ভুল হয়ে যেতে পারে – সিয়াম অবস্থায় খেয়ে ফেলার সম্ভাবনা থাকে প্রায়ই।
রাতে সুহুর করার ক্ষেত্রেও অনভ্যাসের ফলে ওই সময়টায় ওঠা কষ্ট হয়ে যায়।
সিয়াম ছিল রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের খুব প্রিয় আমল। তিনি রামাদানে ফরয সিয়ামের আগে শাবান মাসে অনেক বেশি সিয়াম পালন করতেন।
আবূ সালামাহ্ (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আয়িশাহ্ রাদিয়াল্লাহু আনহাকে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সিয়াম সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম। তিনি বলেন, কখনো কখনো একাধারে সিয়াম পালন করে যেতেন যে, আমরা বলতাম, তিনি সিয়াম পালন করে যাচ্ছেন। আবার তিনি কখনো কখনো একাধারে সিয়াম পালন না করে অতিবাহিত করতেন যে, আমরা বলতাম, হয়ত তিনি আর সিয়াম পালন করবেন না। আমি তাকে শা’বান মাসের চেয়ে অন্য কোন মাসে এত অধিক (নফল) সিয়াম পালন করতে দেখিনি। তিনি পুরো শাবান মাসেই সিয়াম পালন করতেন (অর্থাৎ কয়েক দিন ছাড়া পূর্ণ শাবান মাস সিয়াম পালন করতেন)। (সহীহ মুসলিম ২৫৮৯)
১৪৪০ হিজরির শাবান মাস শুরু হয়েছে।
বোনেরা যেন তাদের কাযা সিয়াম আদায় করে ফেলেন।
আমরা সবাই যেন সর্বোচ্চ চেষ্টা করেন রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের অনুকরণে যত বেশি সম্ভব সিয়াম পালন করতে।