যখন সালাফদের কেউ সালাতে দাঁড়াতেন তখন তারা কোনো বস্তু দেখতে, এদিক সেদিক চেহারা ঘুরাতে, পাথর নাড়তে, কোনো বস্তু নিয়ে খেলতে, কিংবা দুনিয়াবি জিনিস নিয়ে চিন্তা করতে আল্লাহকে খুব ভয় করতেন, তবে ভুলে ঘটলে ভিন্ন কথা।” [তাযিমু কাদরিস সালাত’: ১/১৮৮]
ইবন যুবায়ের সাজদায় ছিলেন আর কামানের গোলা লেগে তার কাপড়ের অংশ বিশেষ ছিঁড়ে গেল, তবু তিনি মাথা তুলেন নি।
মাসলামা ইবন বাশশার মসজিদে সালাত পড়ছিলেন, ইত্যবসরে মসজিদের অংশ বিশেষ ভেঙ্গে নিচে পড়লে মানুষেরা ছুটোছুটি করে উঠে গেল, কিন্তু তিনি সালাতে ছিলেন তাই টেরও পান নি।
আলি ইবন আবি তালিব রাদিয়াল্লাহু আনহু সম্পর্কে আছে, সালাতের সময় হলে তিনি কেঁপে উঠতেন, আর তার চেহারা বিবর্ণ হয়ে যেত।
কেউ জিজ্ঞেস করল, আপনার কী হয়েছে?
তিনি উত্তর দিলেন, আমানতের সময় হয়েছে, যে আমানত আল্লাহ আসমান ও জমিনকে পেশ করেছিলেন, তারা অপারগতা প্রকাশ করেছে ও ভয় পেয়েছে, আর আমি সেটা গ্রহণ করেছি!
সাইদ তানুখি রহ. সম্পর্কে আছে, তিনি সালাতে দাঁড়ালে চোখের পানি গণ্ডদেশ গড়িয়ে দাড়িতে পড়া শুরু হত।
জনৈক তাবেঈ সালাতে দাঁড়ালে তার রং পাল্টে যেত এবং তিনি বলতেন,
তোমরা জান, আমি কার সামনে দাঁড়াব, কার সাথে কথা বলব? [সিলাহুল ইয়াকযান লি তারদিশ শায়তান’: পৃ.২০৯]
শাইখ মুহাম্মাদ সালিহ আল-মুনাজ্জিদ (হাফিজাহুল্লাহ) –এর “সালাতে একাগ্রতা অর্জনের ৩৩টি উপায়” বই থেকে সংকলিত।