যারা রাসূলে ﷺ –এর শহরে ভ্রমণ করতে চান তাদের প্রতি মসজিদে নববীর ইমাম শাইখ সালাহ আল-বুদাইর নসীহত দিয়েছেন।
ত্ববা শহর আগমনকারী প্রিয় ভাইগণ, মক্কার পরে সর্বোত্তম স্থান ও মর্যাদাবান শহরে আপনারা এসেছেন; সুতরাং এ শহরকে যেভাবে মর্যাদা দেয়া দরকার সেভাবে মর্যাদা দিন, এর পবিত্রতা রক্ষা করুন, এখানে আদব ও শিষ্টাচারের পরাকাষ্ঠা বজায় রেখে চলুন। জেনে রাখুন, যে ব্যক্তি এখানে কোন অন্যায় করবে আল্লাহ তাকে কঠোর শাস্তি দেয়ার হুমকি দিয়েছেন। আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে বর্ণনা করেছেন তিনি বলেন: “মদিনা হচ্ছে- হারাম (পবিত্রস্থান)। যে ব্যক্তি মদিনাতে কোন অন্যায় করবে, কিংবা কোন অন্যায়কারীকে আশ্রয় দিবে তার উপর আল্লাহর লানত, ফেরেশতাদের লানত এবং সকল মানুষের লানত। কিয়ামতের দিন আল্লাহ তার কোন ফরয কিংবা নফল আমল কবুল করবেন না।”[সহিহ বুখারী (১৮৬৭) ও সহিহ মুসলিম (১৩৭০)]
সুতরাং যে ব্যক্তি মদিনাতে কোন গুনাহর কাজ করবে কিংবা কোন গুনাহকারীকে আশ্রয় দিবে, রক্ষা করবে; সে ব্যক্তি নিকৃষ্ট আযাবের সম্মুখীন হবে, আল্লাহর গযবের শিকার হবে।
মারাত্মক গুনাহ হচ্ছে- মদিনার পবিত্র পরিবেশকে প্রকাশ্যে বিদাত করার মাধ্যমে কলুষিত করা। নানারকম কুসংস্কারের মাধ্যমে এ শহরকে দূষিত করা। বিদাতী প্রবন্ধ-নিবন্ধ, শিরকী বই-পুস্তক ও শরিয়ত গর্হিত বিষয়াদি প্রচার করার মাধ্যমে এ ভূমির পবিত্রতা নষ্ট করা। এসব গুনাহকারী ও গুনাহকারীকে আশ্রয়দাতা উভয়ে সমান পাপী।
উৎস : ইসলামকিউএ
আপনি কি মক্কা মদিনা ভ্রমন করতে চাচ্ছেন হজ্জ অথবা উমরাহর নিয়্যাতে? যোগাযোগ করুন বাংলাদেশের নির্ভরযোগ্য একটি হজ এজেন্সী – শেফার্ডস এর সাথে।