রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামে মৃত্যুর ৫০ বছর ইরাকের কারবালা প্রান্তরে মর্মবিদারক এ ঘটনাটি ঘটেছিল ৬১ হিজরির পবিত্র জুমাবারে [আল-বিদায়া ওয়ান-নিহায়া : ১১/৫৬৯]। এটি ছিল উম্মতের ওপর নেমে আসা সবচেয়ে বড় বিপদগুলাের একটি।
আল্লামা ইবনু তাইমিয়া রহিমাহুল্লাহ বলেন, ‘হুসাইন রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু এর শাহাদতের ঘটনাটি মহা বিপদগুলাের একটি। কারণ, হুসাইন রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু এবং তাঁর আগে উসমান রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু-এর শহীদ হওয়ার ঘটনার মধ্য দিয়েই পরবর্তীতে উম্মতের ওপর নেমে এসেছে অনেক মহা দুর্যোগ। আর তাঁদের শহীদ করেছে আল্লাহর নিকৃষ্ট বান্দারা [মাজমু ফাতাওয়া ৩/৪১১]।
এ দিনকে কারবালার দিন হিসাবে উদযাপন করা। হুসেইন (রা:) এর মৃত্যুর স্মরনে শরীরে আঘাত করা, শরীর রক্তাক্ত করা, তাজিয়া মিছিল করা ইত্যাদি সবই বর্জনীয় আমল। এগুলাে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং সাহাবীগণ (রা:) থেকে প্রমাণিত নয়।
আবু মুসা আশআরী রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, আমি তাদের থেকে মুক্ত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যাদের থেকে মুক্ত। আর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (শোকে) মাথা মুণ্ডন কারিণী, বিলাপকারী এবং বুক বিদীর্ণ কারিণী থেকে মুক্ত [বুখারী, মুসলিম : ১০৪]।
আব্দুল্লাহ ইবন মাসউদ রাদিয়াল্লহা আনহু থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘সে আমাদের উম্মতভুক্ত নয় যে গালে আঘাত করে, বুকের কাপড় ছিড়ে এবং জাহেলি কথাবার্তা বলে’ [বুখারি: ১২৯৪]।