ইসলামে গ্রহণের কয়েকমাস পরেই আমার বিয়ে হয়। বিয়ের পর সবাই রোমান্টিক হানিমুনে যায়, কিন্তু আমার স্বামী বলল, আমরা সবকিছুর আগে একসাথে উমরাহ করবো।
যেখানে সব দম্পতি বিয়ের পর প্যারিস, মালদ্বীপের মত সুন্দর সুন্দর জায়গায় হানিমুনে যাচ্ছে সেখানে আমার স্বামীর একরম ইচ্ছা খানিকটা মন খারাপ করে দিল। এ নিয়ে তার সাথে আমার বেশ তর্ক-বিতর্কও হলো।
– তুমি আমাকে জোর করে উমরাহ করতে নিয়ে যাবে?
– ‘তুমি কি সুখী হতে চাও না? তুমি কি একটা সুখী ‘বৈবাহিক জীবন’ চাও না?
আল্লাহকে যদি আমরা খুশি করতে পারি তাহলে আল্লাহও আমাদেরকে সুখী করবেন। আমাদের দাম্পত্য জীবন আল্লাহর দয়াই সুখময় হবে ইনশাআল্লাহ।
আর মক্কার মত পবিত্র ভূমি ছাড়া আর কোন জায়গা আছে যেখানে আমরা আমাদের বিবাহোত্তর জীবনের জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করতে পারি?’
আল্লাহ আমার অন্তরটা খুলে দিলেন। আমাকে বুঝ দান করলেন। আমি প্রস্তুত হয়ে গেলাম উমরাহর জন্য।
একজন নওমুসলিমাহ হিসেবে আমার প্রথম উমরাহ আমাকে অনেক কিছু শিখিয়েছে। অথচ আমি অল্প কিছু সূরা ছাড়া কুরআন পড়াই জানতাম না।
আমার সাথে যারা উমরাহ করছে তারা সবাই জন্ম থেকেই মুসলিম। কিন্তু নওমুসলিম হিসেবে উমরাহ করার ফলে আমার অনুভুতি’ ছিল সবার থেকে আলাদা।
-দি রেডিয়েন্ট মুসলিম ব্লগ থেকে অনূদিত
আপনিও কি স্বপ্ন দেখছেন একটি সুন্দর হজ্জ যাত্রার? আপনার স্বপ্ন পূরনে শেফার্ডস আছে আপনার পাশে। যোগাযোগ করুন বাংলাদেশের হজ্জ ওমরাহ এজেন্সী – শেফার্ডস এর সাথে।