১. হেরা পাহাড়
হেরা পাহাড় মক্কা থেকে মিনার পথে বাম দিকে অবস্থতি। এর উচ্চতা ৬৩৪ মিটার। বর্তমানে মক্কাবাসিরা একে জাবালে নূর বলে থাকনে। এ পাহাড়ের ওপরইে সেই গুহা রয়েছে যেখানে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) নবুওয়াতের পুর্বে ইবাদত করতেন। ইবাদতরত অবস্থায় এখানইে র্সবপ্রথম কুরআনের আয়াত নাযিল হয়েছিল। এর উচ্চতা মাঝারি আকারের। এ পাহাড়ে উঠলে মক্কার ঘর-বাড়ি দেখা যায়। দেখা যায় ছাওর পাহাড়। মক্কাসহ সারা পৃথিবীতে হেরা পাহাড়ের মতো কোন পাহাড় নইে। এ এক অনন্য পাহাড়।
২. সাফা
কাবা শরীফ থেকে দক্ষিণ-পূর্ব দিকে, ১৩০ মিটার দূরে, সাফা পাহাড় অবস্থিত। সাফা একটি ছোট পাহাড় যার উপর বর্তমানে গম্বুজ নির্মাণ করা হয়েছে। সাফা পাহাড়ের নির্দিষ্ট জায়গা থেকে এখনও পবিত্র কাবা দেখতে পারা যায়।
৩. মারওয়া
শক্ত সাদা পাথরের ছোট্ট একটি পাহাড়। পবিত্র কাবা থেকে ৩০০ মিটার দূরে পূর্ব-উত্তর দিকে অবস্থিত। বর্তমানে মারওয়া থেকে কাবা শরীফ দেখা যায় না। মারওয়ার সামান্য অংশ খোলা রাখা হয়েছে। বাকি অংশ পাকা করে ঢেকে দেয়া হয়েছে।
৪. মাস'আ
সাফা ও মারওয়ার মধ্যবর্তী স্থানকে মাস’আ বলা হয়। মাস’আ দীর্ঘে ৩৯৪.৫ মিটার ও প্রস্থে ২০ মিটার। মাসআ’র গ্রাউন্ড ফ্লোর ও প্রথম তলা সুন্দরভাবে সাজানো। গ্রাউন্ড ফ্লোরে ভিড় হলে প্রথম তলায় গিয়েও সাঈ করতে পারেন। প্রয়োজন হলে ছাদে গিয়েও সাঈ করা যাবে তবে খেয়াল রাখতে হবে আপনার সাঈ যেন মাসআ’র মধ্যেই হয়। মাসআ থেকে বাইরে দূরে কোথাও সাঈ করলে সাঈ হয় না।
৫. রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) -এর জন্মস্থান
রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) পবিত্র জন্মস্থানটি সুপরচিতি। শি’আবে আলীর প্রবেশমুখে অবস্থতি। বনী হাশেম গোত্র যেখানে বাস করত সেটিই শি’আবে আলী। যেখানে কুরাইশগণ বনূ হাশিম গোত্রকে অবরুদ্ধ করে রাখে। মানুষ বরকত স্বরূপ সে স্থানের মাটি গ্রহণ করা শুরু করছেলি। যা একটি গর্হিত ও শির্কি কাজ। তাই পরর্বতীতে সেখানে একটি লাইব্রেরি স্থাপন করা হয়।
৬. গারে ছাওর
গারে ছাওরটি ছাওর পাহাড়ে অবস্থতি। মসজিদে হারাম থেকে ৪ কিলোমিটার দূরে এর অবস্থান। এ গর্তটি পাহাড়ের উপরে এক পাশে অবস্থিত, যার সর্বোচ্চ উচ্চতা ১.২৫ মিটার এবং সর্বোচ্চ দৈর্ঘে ও প্রস্থে ৩.৫ x ৩.৫ মিটার। এ গর্তে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আশ্রয় গ্রহণ করেছিলেন।
৭. আবূ কুবাইস ও আজইয়াদ পাহাড়
আয়তনে খুব একটা বড় না হলওে আবূ কুবাইস মক্কার অন্যতম প্রসিদ্ধ পাহাড়। আজইয়াদ হচ্ছে মক্কার উল্লেখযোগ্য পাহাড়। এটি মক্কার শক্তমাটির পাহাড়দ্বয়ের একট। শক্তমাটির অপরটি হলো, কু’আইকি’আন পাহাড়। এ দুই পাহাড়রে বিষয়ে হাদীসে রয়েছে- (আল্লাহ্) বলেন, হে মুহাম্মাদ, আপনি চাইলে আমি তাদেরকে (কাফেরদেরকে) এই পাহাড়দ্বয়ের মাঝে চাপা দেব। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, না বরং আমি আশা করি তাদের বংশধরদের মধ্য থেকে এমন লোক জন্ম নেবে যারা এক আল্লাহর ইবাদত করবে।
৮. দারুন নাদওয়া
এটি নির্মান করনে কুসাই ইবন কিলাব হিজরতের প্রায় ২০০ বছর আগে। এ নামে নামকরণ করা হয় এ কারণে যে তারা এখানে পরার্মশ করতো। এটাই ঐ গৃহ যেখানে কুরাইশ নেতৃবৃন্দ ইসলাম প্রচাররে বিরুদ্ধে পরিকল্পনা প্রণয়নের জন্যে একত্রিত হতো। তারা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -কে হত্যার পরকিল্পনাও করে এখান থেকে।
৯. নহরে যোবায়দা
নহরে যোবায়দা একটি মিষ্টি পানির নহর বা খাল বিশেষ। খলীফা হারুনুর রশীদের স্ত্রী যোবায়দা হাজীদের পানি পানের ব্যবস্থা করার জন্য এটি খনন করেছিলেন।