উমরাহ কীভাবে করবেন – ৩য় পর্ব

ফ্লাইটের দিনে কমপক্ষে ৪ ঘন্টা আগে এয়ারপোর্টে উপস্থিত হতে হবে। এসময় প্রয়োজনীয় সব কাগজ (যেমনঃ পাসপোর্ট, ভিসার কপি, এয়ার টিকেট, এজেন্সির দেওয়া সার্ভিস ভাউচার ইত্যাদি) কয়েকটি কপি করে কয়েক জায়গায় রাখা ভাল। কারণ এক জায়গায় থেকে হারিয়ে গেলে অন্য জায়গারগুলো কাজে লাগানো যাবে। প্রয়োজনে এগুলো ফ্লাইটের আগের দিন ব্যাগে ভরে রাখা যেতে পারে।

বাড়ি থেকে বের হওয়ার আগেই ইহরামের কাপড় পরে এয়ারপোর্টে যাওয়া উচিত। কেননা এয়ারপোর্টে বা বিমানের মধ্যে ইহরামের কাপড় পরার সময় এবং সুযোগ নাও থাকতে পারে। অবশ্য যারা মদীনা হয়ে মক্কায় যাবেন তারা ইহরামের কাপড় মদীনা থেকে বের হওয়ার সময় পরে নিতে পারেন। 

এয়ারপোর্টে চেক ইন, বোর্ডিং পাস সংগ্রহ এবং ইমিগ্রেশন শেষ করে বিমানে উঠতে হবে। বাংলাদেশে থেকে যারা জেদ্দা এয়ারপোর্টে যাবেন তাদের মীকাত হলো “ইয়ালামলাম” (ল্যান্ডিং করার ৪০ মিনিট পূর্বে)। আর যারা মদীনা হয়ে মক্কায় যাবেন তাদের মীকাত হলো “যুল হুলাইফা”। এ স্থানসমূহে পৌঁছানোর পূর্বক্ষণেই ইহরামের নিয়্যত করতে হবে। ইহরামের নিয়্যতের নিয়ম হলো মুখে উচ্চারণ করে “লাব্বাইকা উমরাহ” বলা। এরপর তালবিয়্যাহ পড়তে থাকতে হবে। পুরুষরা উচ্চস্বরে এবং মহিলারা নিম্নস্বরে তালবিয়্যাহ পড়বেন।