মুহাররাম: এর অর্থ হারামকৃত, মর্যাদাপূর্ণ। এটি অারবী হিজরীর প্রথম মাস। মুহাররামের ১০ তারিখকে আশুরা বলা হয়। এ দিন সিয়াম রাখা সুন্নাত।
সফর: সফর শব্দটি সিফর থেকে নির্গত। এর অর্থ শূন্য হওয়া, জাহেলি যুগে সফর মাসে আরবের লোকেরা যুদ্ধের জন্য বের হয়ে গেলে ঘর শূন্য হয়ে যেত, তাই সফরের মাসের নাম সফর রাখা হয়েছে।
রবিউল আউয়াল: শাব্দিক অর্থ বসন্তের শুরু। এ মাসের নামকরণ করা হয় বসন্তকালের শুরু লগ্ন হওয়ার কারণে।
রবিউল আখের/সানি: এর নামকরণকালে বসন্তের শেষার্ধে পড়ার কারণে রবিউল আখের বা শেষ বসন্ত নাম রাখা হয়।
জুমাদা আল উলা: জুমাদা শব্দটি এসেছে জুমুদ থেকে, যার অর্থ জমে যাওয়া, স্থবির হওয়া। যখন এই মাসের নাম রাখা হয় তখন ঠাণ্ডার মৌসুম আরম্ভ হয়, কেননা ঠাণ্ডার কারণে প্রায় জিনিস জমে যায়। এ জন্য এ মাসের নাম এভাবে রাখা হয়।
জুমাদা আল আখের: শীতকালের শেষ লগ্নে গিয়ে এ মাসের নামকরণ করা হয় বলে এ মাসের নাম রাখা হয়েছে ‘জুমাদাল আখের’।
রজব: রজব শব্দটি রজিব থেকে উদ্ভূত হয়েছে। আরববাসী এ মাসকে শাহরুল্লাহ- অর্থাৎ আল্লাহর মাস বলত।
শা’বান: শা’বান শাব শব্দ থেকে উদ্ভূত হয়েছে। এর অর্থ হলো বের হওয়া, প্রকাশ হওয়া, বিদীর্ণ হওয়া। এর নামকরণের সম্ভাব্য কারণ এ মাসের পানির অভাব। তৎকালীন আরবেরা এ মাসে পানির সন্ধানে চারদিকে ছড়িয়ে পড়তো।
রমাদান: রমাদান শব্দের মূল অর্থ হচ্ছে জ্বালানো-পোড়নো। যেহেতু এই মাসে মুমিনের গুনাহগুলো জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে দেয়া হয়, তাই এ মাসের নাম রমাদান রাখা হয়।
শাওয়াল: এর অর্থ ওঠানো। আরবরা এ মাসে শিকার করার উদ্দেশ্যে কাঁধে অস্ত্র ওঠাত, এ জন্য এর নামকরণ করা হয়েছে ‘শাওয়াল’।
যুলক্ব’দাহ: ‘জিল’ অর্থ ওয়ালা আর ‘ক্বদাহ’ অর্থ বসা, এ মাসে অারবরা যুদ্ধ করত না (বসে থাকত) এজন্য এর নামকরণ করা হয়েছে যুলক্ব’দাহ।
যুলহিজ্জাহ: এটি হজ্জের মাস। তাই এটির নামকরণ যুলহিজ্জাহ করা হয়।